ঢাকা ০২ ডিসেম্বর, ২০১২
মালয়েশিয়ায় পুনরায় জনশক্তি রপ্তানীর লক্ষ্যে দু’ দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সমঝোতার আওতায় সরকারীভাবে (জি টু জি) পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সেক্টরে চাহিদা পত্র পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ফেব্রুয়ারী মাস থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ শুরম্ন হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজ ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন। এ সময় প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, বিএমইটি এর মহাপরিচালক বেগম শামসুন্নাহার ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর কারার ফলে মালয়েশিয়ায় নতুন জনশক্তি রপ্তানীর দ্বার উম্মোচিত হল। মালয়েশিয়ার রাজধানী পুত্রজায়ায় আমত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং মালয়েশিয়ার পক্ষে সে দেশের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রামানিয়াম উক্ত স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
পর্যায়ক্রমে মালয়েশিয়া সরকার ম্যানুফ্যাকচারিং, নির্মাণ, কৃষি, সেবা ও পস্নান্টেশন খাতে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ দেবে। তবে প্রথম পর্যায়ে ত্রিশ হাজার পস্নান্টেশন কর্মী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় পস্নান্টেশন কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যে বিএমইটি‘র ওয়েব সাইটের মাধ্যমে অন লাইনে কর্মীদের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম শুরম্ন হবে।
তিনি আরও বলেন, পস্নান্টেশন সেক্টর ক্যাটাগরিতে রেজিষ্ট্রেশনে আগ্রহী কর্মীদের নিমেণাক্ত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আগ্রহী কর্মীদের বাংলাদেশের নাগরিক, কৃষিকাজে অভিজ্ঞতা, বয়স সীমা ১৮-৪৫ বছর, গ্রাম এলাকার প্রকৃত বাসিন্দা, কর্মীর উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট বা তদুর্ধ্ব, শরীরের ওজন কমপক্ষে ৫০ কেজি ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে এবং সর্বনিমণ ২৫ কেজি ওজনের মালামাল হাতে করে বহনের ক্ষমতা থাকতে হবে।
তিনি বলেন, অন লাইনে রেজিষ্ট্রেশন করার সময়সূচী ও করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে। যে কোন স্থান হতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এবং ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র হতে এই রেজিষ্ট্রেশন করা যাবে। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য কোন ফি দেয়ার প্রয়োজন হবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশের সকল জেলা হতে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের সমান সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে জনপ্রসাশন মন্ত্রনালয়ের ডেমোগ্রেফিক কোটা অনুযায়ী প্রত্যেক জেলার কোটা নির্ধারন করা হবে এবং আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রেরণ করা হবে। রেজিষ্ট্রেশনের সময় জেলা কোটা পূরণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঐ জেলার রেজিষ্ট্রেশন বন্ধ হয়ে যাবে।
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, সফলভাবে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হলে সংশিষ্ট কর্মী সাথে সাথেই রেজিষ্ট্রেশন নম্বরসহ একটি কার্ড পাবেন। উক্ত কার্ডে কর্মীর বাছাইয়ের জন্য নির্ধারিত টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) নাম, স্থান ও তারিখ উলেস্নখ থাকবে। দেশের ১৩ টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে এই বাছাই কর্যক্রম চলবে। প্রতিটি বাছাই কেন্দ্রে যুগ্নসচিব/উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে সংশিষ্ট জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, ডিএমও’র সহকারী পরিচালক এবং টিটিসি’র প্রিন্সিপালের সমন্বয়ে একটি সুপারভাইজিং কমিটি বাছাইকালিন সময়ে সার্বক্ষনিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
উলেস্নখ্য, মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য কর্মীর মেডিক্যাল চেকআপ, প্রশিক্ষণ ফি, ভিসা ফি, কল্যাণ ফি, বিমানভাড়া ইত্যাদি বাবদ অভিবাসন ব্যয় আনুমানিক ৪০ হাজার টাকা হবে।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপ ও অন্যান্য উন্নত দেশে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনসত্ম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সমূহকে অস্ট্রেলিয়ার ‘‘টেকনিক্যাল এন্ড ফারদার এডুকেশন (ট্যাফে)’’ এর সাথে এফিলিয়েশনের জন্য ২৮ নভেম্বর ২০১২ তারিখ অপর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মোঃ শহিদুল আলম মজুমদার
তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
মোবাইল- ০১৭১১৭০৪৮৪৩
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস